এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভ্যানের ওপর লাশের স্তূপ করার ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিও নিয়ে কাজ শুরু করেছে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করা গেছে বলেও জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ। গতকাল রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া থানা পরিদর্শনে এসে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এদিকে পুলিশ সুপার বলেন, যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটি আমাদের নজরে এসেছে। আমাদের জায়গা থেকে যা করণীয় তা আমরা করছি। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তদন্ত করছেন। আমরা সবার সহযোগিতায় পেয়ে গেছি কারা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, কারা উপস্থিত ছিলেন। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য নাম গুলো প্রকাশ করছি না। খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের সামনে প্রকাশ করা হবে।
আহম্মদ মুঈদ বলেন, যেগুলো ভিডিওতে এসেছে সেগুলো দেখেছি, তবে ফিজিক্যাল এভিডেন্স এখনও পাইনি। এগুলো নিয়েও আমাদের কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই শনিবার একটি নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে। আমরা এটি নিয়েও কাজ করছি। আশা করছি খুব ভালো একটা রেজাল্ট আসবে। জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে অপরাধী সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে। পুলিশ আইনের বাইরে নয়।
তিনি আরও বলেন, শুধু ছাত্র-জনতা না, আমাদের অনেক পুলিশ সদস্যকেও আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। পুলিশ হত্যার মামলাও হবে। প্রধান উপদেষ্টার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে গুরুত্বের সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনকারীরা গত ৫ আগস্ট নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় জমায়েত হতে থাকেন। পরে শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবরে আন্দোলনকারীরা আশুলিয়া থানার দিকে অগ্রসর হয়। এসময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ১৫ জনের মৃত্যু হয় (ভ্যানে তোলা লাশের হিসাব বাদে)। ঘটনার ২৫ দিন পর পুলিশ লাশ স্তূপ করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে একটি ভ্যানে ৬ জনের মৃতদেহ দেখা হয়। পরবর্তীতে ঘটনাটি আশুলিয়া থানার পাশে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।